Friday, March 16, 2018

seoexpert_177#!

https://www.fiverr.com/seoexpert_177#!I'm SEO consultant, I have been doing internet marketing for more than 5 years so I understand what it takes to get your website #1. I offer top quality SEO services for only a Fiverr.

Thursday, December 14, 2017

ব্যাটে-বলে ভাগ্য মিলে

‘আজ আমরা দুজন পরস্পরের সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ থাকার প্রতিজ্ঞা করলাম। আজ এই খুশির খবর আপনাদের সবাইকে জানাতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। এই সুন্দর দিনটি আমাদের পরিবার, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সমর্থনে আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে। আমাদের এই যাত্রার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।’ ছোট এই বিবৃতি দিয়ে সব গুঞ্জনের অবসান করলেন সদ্যবিবাহিত দম্পতি বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মা। বলিউড কিংবা ক্রিকেটপাড়া হোক, এত দিন এই ক্রিকেটার আর অভিনেত্রীর প্রেমের গুঞ্জনটা যেন থামছিলই না। গণমাধ্যমকে ফাঁকি দিতে ইতালির মিলানে গিয়ে ৯ ডিসেম্বর গাঁটছড়া বাঁধলেন ক্রিকেট তারকা বিরাট আর বলিউড তারকা আনুশকা। ভক্তরা তাঁদের আদর করে নাম দিয়েছে ‘বিরুশকা’। বাজারে টাটকা খবর বলতেই এখন বিরুশকা দম্পতির বিয়ের খবর। তাঁদের বিয়ের ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ক্রিকেট তারকা ও বলিউড তারকার ব্যাটে-বলে ভাগ্য মিলে যাওয়ার তালিকাটা শুরু হয় আরও অনেক আগে। শর্মিলা ঠাকুর ও মনসুর আলী খান পতৌদির বিয়ে দিয়ে শুরু হয় তা।
মনসুর–শর্মিলাবলিউড কিংবা টালিউড, একসময়ের সাড়া জাগানো নায়িকা ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। আর নবাব পরিবারের ছেলে মনসুর আলী খান পতৌদি ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। বলিউডের ‘রাজকন্যা’ আর ক্রিকেটের ‘রাজকুমার’-এর বিয়ে হয় ১৯৬৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর। শর্মিলার মন পেতে চার বছর লেগেছিল মনসুরের। গোলাপ, প্রেমপত্র এমনকি ফ্রিজ উপহার দিয়ে পটাতে হয়েছে শর্মিলাকে। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে শর্মিলার বাবা-মা ভেবেছিলেন, এত নামী বংশের ছেলের সঙ্গে বিয়েটা হয়তো টিকবে না। সেই সঙ্গে আবার দুজন ভিন্ন ধর্মের। কিন্তু না, তাঁদের ভালোবাসা আজ পর্যন্ত দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। ২০১১ সালে সাইফ আলী খান, সাবা আলী খান ও সোহা আলী খানের জনক মনসুরের প্রয়াণ হয়।
গীতা-হরভজনসালটা ছিল ২০১৫। পাঞ্জাবের জলন্দরে ধুমধাম করে পাঞ্জাবি রীতিতে বিয়ে করেন ক্রিকেট তারকা হরভজন সিং এবং বলিউড অভিনেত্রী গীতা বসরা। হরভজন প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়েছিলেন গীতার। তিনি বলেছেন, ‘আমি যখন লন্ডনে কাউন্টি ক্রিকেট খেলছিলাম, ওকে তখন “ও আজনাবি” গানে দেখেছিলাম। আমি আমার বন্ধুকে বলি, আমি এই মেয়েটার সঙ্গে দেখা করতে চাই।’ সাউথ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর হরভজন গীতাকে কফি খেতে দেখা করতে বলেন। তারপরই শুরু...
সংগীতা–আজহারবিবাহিত থাকা সত্ত্বেও ১৯৯৪ সালের দিকে গুঞ্জন উঠেছিল ক্রিকেট অধিনায়ক আজহারউদ্দিন নাকি প্রেম করছেন মডেল ও অভিনেত্রী সংগীতা বিজলানির সঙ্গে। এক বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে গিয়ে পরিচয় হয়েছিল তাঁদের। পরে সত্যি সত্যিই ১৯৯৬ সালে প্রথম স্ত্রী নওরিনকে তালাক দিয়ে সংগীতাকে বিয়ে করেন আজহার। কিন্তু ভালোবাসার ঘর টেকেনি তারকা দম্পতির। ২০১০ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় আজহার-সংগীতার।
আনুশকা–বিরাট
বিয়ের আগ পর্যন্ত প্রেমের ব্যাপারে মুখ খোলেননি তাঁরা। ২০১৩ সালে এক বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং করতে গিয়ে পরিচয় হয় বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মার। পরিচয় থেকে ধীরে ধীরে প্রণয়। মাঝে সম্পর্কের টানাপোড়েন। শোনা যায়, ভেঙে গিয়েছিল তাঁদের প্রেম। কিন্তু বিচ্ছেদ সইল না আর। বিয়ে করে ‘বিরুশকা’ নামটাকে স্থায়ী করে দিলেন।
হেজেল–যুবরাজসাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক যুবরাজ সিংহের প্রেমিকার তালিকাটা নেহাত ছোট নয়। বলিউড অভিনেত্রীদের সঙ্গেই তাঁর প্রেমের গুজব ছড়িয়েছিল বেশ। কিম শর্মা, প্রীতি জিনতা এমনকি দীপিকা পাড়ুকোনও আছেন এই তালিকায়। শেষমেশ ঘোষণা দিয়ে নিজের উইকেটের পতন ঘটান যুবরাজ। গত বছর বিয়ে করেন মডেল ও অভিনেত্রী হেজেল কিচকে।
জহির-সাগরিকা
যুবরাজ ও হেজেলের বিয়েতে প্রথম একসঙ্গে দেখা যায় সাবেক ক্রিকেটার জহির ও অভিনেত্রী সাগরিকা ঘাটগের। তখন থেকেই কানাঘুষা চলছিল, তাঁদের মধ্যে হয়তো প্রেম আছে। কথাটা সত্য হলো। গত মাসেই বিয়ের কাজটা সেরে ফেলেছেন পেসার জহির আর চাক দে ছবির অভিনেত্রী সাগরিকা।

Sunday, November 12, 2017

দর্শক হাসানোর নামে ভাঁড়ামি চলছে

আজ থেকে আরটিভিতে শুরু হচ্ছে বৃন্দাবন দাসের রচনা ও সঞ্জিত সরকারের পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক মজনু একজন পাগল নহে। নাটকটিতে মজনু চরিত্রে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। নাটকের পাশাপাশি বর্তমান সময়ের কাজগুলো নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
‘মজনু একজন পাগল নহে’ ধারাবাহিকে নতুন কী দেখবেন দর্শক?
মজনু গ্রামের একটা চরিত্র, যাকে পরিবারের সবাই সম্পত্তির লোভে পাগল হিসেবে প্রচার করে। তারপর থেকে ‘মজনু পাগলা’ হিসেবে চেনে সবাই। এই মজনু বিয়ে করতে খুবই আগ্রহী। কিন্তু পাগল বলে তার বিয়ে হয় না। খুবই মজার একটা চরিত্র।
বৃন্দাবন দাসের রচনায় এ রকম নাটকে তো আগে মনে হয় কাজ করেছিলেন।
না। ভাষার কারণে মনে হয় একই রকম। কারণ, তিনি পাবনার ভাষায় নাটক লেখেন। এ কারণে অনেকে একই রকম মনে করেন। এখন শুদ্ধ ভাষায় যদি পাঁচটা নাটক হয়, সব কি একই রকম হয়? গল্প ও চরিত্র সম্পূর্ণ আলাদা।
এই মজনু কি লাইলির দেখা পায়?
হ্যাঁ, এই মজনুও একজন লাইলির দেখা পায়। তার সঙ্গেও নানা ধরনের পাগলামি করে। দর্শকেরা এই লাইলি-মজনুকেও বেশ পছন্দ করবেন। সত্যি কথা বলতে কি, আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ করতে হয়। আমরা আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে সেরাটুকু করে থাকি। এই নাটকের বেলায়ও এমন হয়েছে।
ইদানীং ধারাবাহিক নাটকের বেলায় কাহিনি ঝুলে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
অনেক নাটকের বেলায় এমনটা হয়। শুধু তা-ই নয়, বিনোদন ও দর্শক হাসানোর নামে ভাঁড়ামি চলছে। আমি নাম উল্লেখ করব না, শুধু এইটুকু বলব, আমরা আমাদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সরে এসেছি। গল্প, চিত্রনাট্য, পাত্রপাত্রী—কোনো দিকে কেউ খেয়াল করছি না। যাচ্ছেতাই করে করছি। তবে বৃন্দাবন দাসের চিত্রনাট্যে কাহিনি ঝুলে যাওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। কারণ, তিনি শেষ দৃশ্যের চিন্তা করে তবেই নাটক লেখা শুরু করেন।
আপনি যে ভাঁড়ামির অভিযোগ করলেন, এটা যদি কোনো দর্শক চঞ্চল চৌধুরীর বিরুদ্ধে করেন।
পারতপক্ষে আমি অন্যায় কাজ বা এ রকম ভাঁড়ামির কাজগুলো করি না। এটা আবার পারসেপশনের মতো। আমি যেটা করছি, সেটা অনেকেই ভাঁড়ামি ভাবতে পারেন। কিন্তু আমার যতটুকু বিবেচনাশক্তি আছে, আমি যে জায়গায় অবস্থান করছি, এত বছর ধরে কাজ করছি, সেই জায়গা থেকে সচেতনভাবেই এই কাজগুলো এড়িয়ে চলি। আমি এমন কোনো চিত্রনাট্যে কাজ করিনি, এমন কোনো সংলাপ বলি না, যেটা আমার সমাজের সঙ্গে মানানসই না। কারণ, দর্শক ও সমাজের প্রতি আমাদের সবারই দায়বদ্ধতা আছে, এটা সব সময় মাথায় রাখি।
নতুন সিনেমার খবর দেবেন?
না, এই মুহূর্তে কথাবার্তা পর্যায়ে আছে। তাই আপাতত খবর দিতে পারছি না। তবে খুব তাড়াতাড়ি ভালো খবর দিতে পারব।

Monday, October 23, 2017

আবার গান করবেন ‘বেসবাবা’ সুমন

শরীরে অনেকগুলো অস্ত্রোপচারের পর আবার গান গাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা ও অর্থহীন ব্যান্ডের সুমন। জানালেন, আগামী ১ নভেম্বর অর্থহীন সিডনি যাচ্ছে। সেখানে কনসার্ট করবে ব্যান্ডটি। সুমন বললেন, ‘যেহেতু আমি অর্থহীনের ভোকাল এবং বেস প্লেয়ার, তাই আমিও যাব।’
মাস খানেক সুমন সবার থেকে দূরে ছিলেন। ফেসবুকে পাওয়া যায়নি তাঁকে। বন্ধু আর প্রিয়জনদের সঙ্গেও তেমন যোগাযোগ ছিল না। গতকাল সোমবার রাতে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এখানে তিনি লিখেছেন, ‘অসুস্থ ছিলাম। সিঙ্গাপুর এবং ব্যাংককে আমার যেতে হয়েছিল। অনেকগুলো টেস্টের পর ডাক্তার আমার স্পাইনে আরেকটি ফাটল খুঁজে পায়। ২২ সেপ্টেম্বর আমার সার্জারি হয়। ডাক্তার আমার স্পাইনে ৮টি স্ক্রু লাগিয়েছে। আমার স্পাইনে এখন মোট ১১টা স্ক্রু! সার্জারির সময় আমার কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়। সার্জারির দুই ঘণ্টা পর আমার লাং কলাপ্স করে। ৩০ ঘণ্টা পর আমাকে আইসিইউ থেকে ওয়ার্ডে আনা হয়।’
নিজের ওপর যথেষ্ট আস্থা সুমনের। এক মাস পর ফেসবুকে ফিরে এসে লিখেছেন, ‘এখনো মরি নাই।’
আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়ে ‘বেসবাবা’ সুমন নামে পরিচিত এই তারকা লিখেছেন, ‘নভেম্বর থেকে অর্থহীন নিয়মিত কনসার্ট করবে। এই ব্যাপারটা সবাইকে জানানো দরকার। আমি এখন অনেকটা সুস্থ।’
এর আগে গত জুন মাসে চেকআপের জন্য ব্যাংককে গিয়েছিলেন তিনি। ১৭ জুন ব্যাংককের স্যামিতিভেজ সুখুম্ভিত হাসপাতালে ছোট একটা অস্ত্রোপচার হয়। সেখানে বিশ্রাম নিয়ে হোটেলে ফিরছিলেন। গলির ভেতর দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন, হঠাৎ একটি মাইক্রোবাস পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। তিনি পরে অজ্ঞান হয়ে যান।
এরপর সুমন জানান, এতে তার মুখের চোয়াল ভেঙে যায় এবং কানের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে পাশের স্যামিতিভেজ সুখুম্ভিত হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার দেহে ১১ ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করা হয়।
সুমন দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যানসারসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

Sunday, October 22, 2017

বিশ্বজয়ী ভারতের সুন্দরীরা

১৯৯৫ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ খেতাব জয় করেছিলেন সাথী বিলকিস ইয়াসমিন। বাংলাদেশ থেকে ‘মিস বাংলাদেশ’ হয়ে তিনি প্রথম ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। অনেক বছর পর এবার ‘মিস বাংলাদেশ’ হয়ে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গেছেন জেসিয়া ইসলাম। তবে বাংলাদেশের জন্য প্রথম বা দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণ হলেও, বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় পাশের দেশ ভারত থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন নারী মুকুট জয় করেছেন। তাঁদের নিয়ে এ প্রতিবেদন।
রিটা ফারিয়া
উপমহাদেশের প্রথম ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ রিটা ফারিয়া। তিনি ১৯৬৬ সালে মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জয় করেন। অর্ধশতাব্দী আগে মিস ওয়ার্ল্ড মুকুটধারী রিটা তখন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ভারতীয় হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জয়ের পর রিটা মিডিয়া জগতে না এসে চিকিৎসাশাস্ত্রে মন দেন। রিটা ফারিয়া ১৯৭১ সালে আয়ারল্যান্ডের চিকিৎসক ডেভিড পাওয়েলকে বিয়ে করে সেখানেই স্থায়ী হন। দুই সন্তান আর পাঁচ নাতি-নাতনি নিয়ে সুখে আছেন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী।
জিনাত আমান
জিনাত আমান ১৯৭০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী হিসেবে ‘মিস এশিয়া প্যাসিফিক’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে শিরোপা জয় করেন। ১৯৭১ সালে ‘হালচাল’ ছবিতে ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। পর্দায় নিজেকে খোলামেলাভাবে উপস্থাপন করে যৌনতাকে শিল্পে উন্নীত করেছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রজীবনে শশী কাপুর, দেব আনন্দ, অমিতাভ বচ্চন, সঞ্জয় খান, জিতেন্দ্র, ধর্মেন্দ্রর মতো নায়কদের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন। তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’, ‘ইয়াদোঁ কি বারাত’, ‘ইনসাফ কি তারাজু’, ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’, ‘কুরবানি’, ‘ডন’। ১৯৮৫ সালে ছোট ও বড় পর্দার অভিনেতা মাযহার খানের সঙ্গে বিয়ে হয় জিনাতের। ১৯৯৮ সালে স্বামীর মৃত্যু হয়। বর্তমানে দুই ছেলে আজান ও জাহানকে নিয়ে বসবাস করছেন তিনি।
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ১৯৯৪ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ মুকুট জয় করার পর ব্যাপক খ্যাতি পান। পরে প্রায় অর্ধশত হিন্দি, ইংরেজি, তামিল ও বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। মণি রত্নমের তামিল ছবি ‘ইরুবর’ (১৯৯৭) ছবিতে নায়িকা হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন। প্রথম বাণিজ্যিক সাফল্য পান তামিল ‘জিনস’ (১৯৯৮) ছবিতে। তিনি সঞ্জয় লীলা বানসালী পরিচালিত ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ (১৯৯৯) ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে জায়গা করে নেন। ঐশ্বরিয়া রাই ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল অমিতাভ-জয়া বচ্চনের ছেলে অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেন।
সুস্মিতা সেন
বাঙালি বংশোদ্ভূত বলিউড তারকা সুস্মিতা সেন ১৯৯৪ সালে ‘মিস ইউনিভার্স’ খেতাব জয় করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে সুস্মিতা সেন মহেশ ভাট পরিচালিত ‘দস্তক’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি মডেলিং ও ফ্যাশন জগতে কাজ করেছেন এই সুন্দরী। সুস্মিতা ৩৬টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনিত প্রথম হিট ছবি ‘বিবি নাম্বার ওয়ান’। ২০০০ ও ২০১০ সালে তিনি দুই কন্যাসন্তান দত্তক নেন। জীবনের ৪২ বছর পার করলেও এখন পর্যন্ত বিয়ের পর্ব সারেননি সুস্মিতা। দত্তক নেওয়া দুই মেয়ে রিনি ও আলিশাকে নিয়েই তাঁর জগৎ।
ডায়ানা হেইডেন
১৯৯৭ সালে তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাব জয় করেন ডায়ানা হেইডেন। তিনিও পা রেখেছিলেন সিনেমা জগতে। ২০০৩ সালে তার অভিনীত ‘তেহজাব’ সিনেমা ব্যবসা করতে না পারায় বলিউডে আর এগোতে পারেননি হায়দরাবাদের মেয়েটি। পরে মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী কলিন ডিককে বিয়ে করেন। এক কন্যাসন্তানের মা তিনি।
যুক্তামুখী
১৯৯৯ সালে ভারতের হয়ে চতুর্থবার ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এর মুকুট পরেন যুক্তামুখী। ৬ ফুট ১ ইঞ্চি লম্বা এই বিশ্বসুন্দরীকে উচ্চতা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। ২০০২ সালে ‘পিয়াসা’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেক যুক্তামুখীর। বক্স অফিসে ছবিটি ছিল ‘সুপার ফ্লপ’। এরপর কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও সিনেমা জগতে স্থায়ী হতে পারেননি। চলচ্চিত্রে স্থায়ী হতে না পারার জন্য নিজের উচ্চতাই দায়ী বলে মনে করেন তিনি। প্রিন্স টুলি নামের এক শিল্পপতিকে বিয়ে করেন, কিন্তু স্বামীর নির্যাতনের কারণে সেই সংসার ভেঙে যায়। এক পুত্রসন্তান নিয়ে এখন তিনি সমাজসেবামূলক কাজে ব্যস্ত আছেন।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ২০০০ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাব পান। ২০০২ সালে তামিল ‘ঠামিজান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তাঁর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তিনি সানি দেওলের বিপরীতে ‘দ্য হিরো’ ছবির মাধ্যমে ২০০৩ সালে বলিউডে প্রবেশ করেন। একই সালে অক্ষয় কুমারের বিপরীতে ব্যবসাসফল ‘আন্দাজ’ ছবিতে অভিনয় করেন। ২০০৪ সালে ‘আন্দাজ’ ছবির জন্য সেরা নবাগতা অভনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। ২০০৮ সালে ‘ফ্যাশন’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ভারত সরকারের দেওয়া চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী অর্জন করেন। একই বছর ‘টাইম’ ম্যাগাজিন প্রকাশিত তালিকায় শীর্ষ ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় ছিল তাঁর নাম।
লারা দত্ত
লারা দত্ত ২০০০ সালে ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় জয়ী হন। ২০০৩ সালে অক্ষয় কুমারের বিপরীতে ব্যবসাসফল ‘আন্দাজ’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। প্রথম ছবিতে অভিনয় করে তিনি সেরা নবাগতা অভিনেত্রী হিসেবে ২০০৪ সালের ‘ফিল্মফেয়ার’ পুরস্কার পান। লারা দত্ত এ পর্যন্ত ৩৩টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। ২০১১ সালে তিনি ভারতের জনপ্রিয় টেনিস খেলোয়াড় মহেশ ভুপতিকে বিয়ে করেন। তাঁদের এক কন্যাসন্তান রয়েছে।
দিয়া মির্জা
দিয়া মির্জা ২০০০ সালে ‘মিস এশিয়া প্যাসিফিক’ খেতাব অর্জন করেন। দিয়া মির্জা ২০১৪ সালে দীর্ঘদিনের প্রেমিক প্রযোজক ও পরিচালক সাহিল সাংঘাকে বিয়ে করেন। তিনি তাঁর স্বামী সাহিল সাংঘার সঙ্গে বর্ন ফ্রি এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। তাঁদের প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘লাভ ব্রেকআপস জিন্দেগি’ ২০১১ সালের ৭ অক্টোবর মুক্তি পায়। দিয়া মির্জা অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’, ‘তুমসে নেহি দেখা’, ‘আলাগ’ উল্লেখযোগ্য।
নিকোল ফারিয়া
নিকোল ফারিয়া প্রথম ভারতীয় হিসেবে ২০১০ সালে ‘মিস আর্থ’ খেতাব পান। ২০১৪ সালে নারী নির্মাতা দিব্যা খোসলা কুমারের ‘ইয়ারিয়া’ সিনেমা দিয়ে তিনি বলিউডে পা রাখেন। এরপর ২০১৬ সালে তুরস্কের চলচ্চিত্র ‘বীর বাবা হিন্দু’তে অভিনয় করেন।

মা ব্যস্ত পার্টিতে, বাবার কোলে তৈমুর

দীপাবলি উৎসব শেষ। কিন্তু বলিউড তারকাদের পার্টি যেন থামছে না। এখনো সবাই যাঁর যাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। এর মধ্যে একটি ছবি তো রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে। হতেই হবে, ছবিটা যে নবাব-পুত্তুরের!
বলিউড তারকা দম্পতি সাইফ আলী খান আর কারিনা কাপুর খানের সন্তান তৈমুর আলী খান, বাবার কোলে বসে মায়াময় দৃষ্টি দিয়ে রেখেছে বাবার হাতের জ্বলন্ত মোমে। এই ছবি এখন দেদার শেয়ার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। একই সময়ে অন্যদিকে কারিনা ছিলেন সোনম কাপুরের আয়োজনে এক পার্টিতে। তাই তাঁর পার্টিতে তোলা সব ছবি পাওয়া যাচ্ছে ইনস্টাগ্রামে।
কখনো ভাইবোনের সঙ্গে, কখনো সহকর্মী তারকাদের সঙ্গে, কখনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে কারিনার ছবি। সব আনন্দ ছাপিয়ে নিঃসন্দেহে সেরা ছবিটা যেন বাবার কোলে তৈমুরের। হিন্দুস্তান টাইমস

                                                                        কাপুর পরিবারের সদস্য—কারিনা, রণবীর, কারিশমা